রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক ভিক্টর পরিবহনের বাসের চালক লিটন (৩৮) ও সহকারী মো. আবুল খায়েরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত এ আদেশ দেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তখন বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান তাদের কিছু বলার আছে?
তখন চালক লিটন বলেন, আমার মাথা ব্যথা করছিল। এজন্য আমার পরিচিত এক ড্রাইভার আরিফকে গাড়িটি দিয়েছিলাম। পড়ে শুনি এ ঘটনা ঘটেছে। আমার কোনো দোষ নাই। এ ঘটনা শোনার পর আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে আমাকে ধরে আসে। আমি ওই ড্রাইভারকে ধরার অনুরোধ করছি।
চালকের সহকারী আবুল খায়ের বলেন, আমাদের বাসটি দাঁড়ানো ছিল। মোটরসাইকেলের লোকটি হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল আর মহিলাকে কি জানি দেখাচ্ছিল। হাতছাড়া থাকার কারণে মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। পরে আমাদের গাড়ির পেছনের চাকায় ধাক্কা লাগে।
এরপর আদালত দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। যা আগামি চার কার্যদিবসে শেষ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
নাদিয়ার মৃত্যুর পর ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনে মামলা করা হয়।