১) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ১৮৭৭ সালের ১নং আইন।
২) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কার্যকর হয় ১৮৭৭ সালের ১লা মে।
৩) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন হল বিষয়ভিত্তিক/প্রতিকারমুলক আইন (Substantive law)
৪) এই আইনের ৫৭ টি ধারা
৫) এই আইন ৩টি খণ্ড, ১০টি অধ্যায়ে বর্ণিত।
ধারাঃ ৫- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যায় ৫টি উপায়ে।
>সম্পত্তির দখল গ্রহন ও তার দাবিদারকে সম্পত্তি অর্পনের মাধ্যমে।
>সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের আদেশ দানের মাধ্যমে/যা করার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে, তেমন কাজ করার আদেশ প্রদানের মাধ্যমে।
>নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অর্থাৎ যা না করার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে তা না করার আদেশ প্রদানের মাধ্যমে।
>ক্ষতিপূরণের রায় প্রদান ব্যতীত অন্য প্রকারে পক্ষসমুহের অধিকার নির্ণয় ও ঘোষণার মাধ্যমে।
>রিসভার নিয়োগের মাধ্যমে।
ধারাঃ ৬- প্রতিরোধমূলক/ নিরোধক প্রতিকার
ধারাঃ ৭- দণ্ডমূলক আইন কার্যকর করার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা যায়না।
ধারাঃ ৮- সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির দখল পুরুদ্ধার (স্বত্বসহ দখল পুনুরুদ্ধার/ মামলা করার সময়সীমা ১২ বছর)
ধারাঃ ৯- স্থাবর সম্পত্তির দখল পুরুদ্ধার (স্বত্বছাড়া শুধু দখল পুনুরুদ্ধার/মামলা করার সময়সীমা ৬ মাস)
ধারাঃ ১০- সুনির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তি পুনুরুদ্ধার।
ধারাঃ ১২- ৪টি ক্ষেত্রে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন করা যায়। (অদ্য ধারার প্রয়োগ আদালতের সেচ্ছাধিন ক্ষমতা)
>চুক্তিভুক্ত কাজ ট্রাষ্টের অন্তর্ভুক্ত হলে।
>যে ক্ষেত্রে সম্মতিভুক্ত কাজ সম্পাদন না করলে ক্ষতির মানদণ্ড নির্ণয় করা যায়না।
>যেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রতিকার পাওয়া যায়না।
>আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে।
ধারাঃ ১৩- চুক্তির বিষয়বস্তু আংশিক বিলুপ্ত হলে চুক্তিটি সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়নের অযোগ্য হবেনা বা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা পুরোপুরি অসম্ভব হবেনা।
ধারাঃ ১৪- চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন, যেখানে অসম্পাদিত অংশ ছোট।
ধারাঃ ১৫- চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন, যেখানে অসম্পাদিত অংশ বড়।
ধারাঃ ১৬- চুক্তির স্বতন্ত্র অংশের সুনির্দিষ্টভাবে কার্যসম্পাদন।
ধারাঃ ১৭- এমন কোন চুক্তি যা উপরোক্ত ১৪, ১৫, এবং ১৬ ধারার আওতায় পড়েনা, সেসবক্ষেত্রে চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করার যায়না।
ধারাঃ ১৮-ত্রুটিপুর্ন স্বত্বসম্পন্ন বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতার অধিকার।
ধারাঃ ১৯- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন যথেষ্ট না হলে ক্ষতিপূরণের আদেশ।
ধারাঃ ২০- খেসারত পরিশোধ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে বাধা নহে।
ধারাঃ ২১- যেসব ক্ষেত্রে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন সম্ভব নয়:
>যে চুক্তির কার্যসম্পাদন না করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা পর্যাপ্ত প্রতিকার হয়।
>যে চুক্তি জটিলতার কারণে সম্পাদন অযোগ্য হয়।
>চুক্তির শর্তাবলি ত্রুটিযুক্ত ও অযৌক্তিক হলে।
>চুক্তির প্রকৃতি শুরু থেকেই বাতিলযোগ্য হলে।
>ট্রাস্টি কতৃক কৃত এমন চুক্তি যা তাদের ক্ষমতা লঙ্ঘন করে করা হয়েছে।
>ক্ষমতা বহির্ভূত চুক্তি
>যে চুক্তি সম্পাদনে ৩বছরের বেশি সময় কাজ করতে হবে।
>যে চুক্তির বিষয়বস্তুর উল্লেখযোগ্য অংশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই বিলুপ্তি ঘটেছে।
ধারাঃ ২১ক- অরেজিস্ট্রিকৃত বিক্রয় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যসম্পাদন করা যাবেনা। (ধারাটি সংযোজিত করা হয়েছে ২০০৪ সালে/ কার্যকর করা হয়েছে ১লা জুলাই, ২০০৫ সাল থেকে)
ধারাঃ ২২- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের আদেশ আদালতের ইচ্ছাধিন ক্ষমতা তবে এটি স্বেচ্ছাচারিতা হবেনা বরং সুষম, যুক্তিসংগত বিচার বিভাগিয় মূলনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আপীল আদালত কতৃক সংশোধনযোগ্য।
ধারাঃ ২৩- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের প্রতিকার প্রদান যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ধারাঃ ২৪- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের প্রতিকারের আবেদন যারা করতে পারবেনা।
ধারাঃ ২৭- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকর করা যায় যাদের বিরুদ্ধে।
ধারাঃ ২৮- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকর করা যায় না যাদের বিরুদ্ধে।
ধারাঃ ২৯- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলা খারিজ হলে ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের করতে পারবেনা।
ধারাঃ ৩১- দলিল সংশোধন (তামাদির মেয়াদ ৩ বছর, অনুঃ ৯৫, ৯৬)
ধারাঃ ৩২- পক্ষসমুহের ইচ্ছা সম্বন্ধে অনুমান।
ধারাঃ ৩৩-সংশোধন সম্বন্ধীয় মুলনিতিসমুহ।
ধারাঃ ৩৪- সংশোধিত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর।
ধারাঃ ৩৫- বিচারপুর্বক চুক্তি রদ।
ধারাঃ ৩৬- লিখিত চুক্তি শুধুমাত্র ভুলের জন্য সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা যায়না।
ধারাঃ ৩৭- সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের বিকল্প হিসেবে চুক্তি রদ।
ধারাঃ ৩৮- চুক্তি বাতিল হলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের প্রতিকার।
ধারাঃ ৩৯- দলিল বাতিল ( দলিল রদ বা বাতিল করার তামাদির মেয়াদ ৩ বছর, অনুচ্ছেদ ৯১)।
ধারাঃ ৪০- দলিল আংশিক বাতিল বা আংশিক সংশোধন
ধারাঃ ৪১- দলিল বাতিলকারি পক্ষ কতৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান
ধারাঃ ৪২- ঘোষণামূলক মোকদ্দমা
বাদির আইনগত পরিচয়
সম্পত্তিতে বাদির কোন অধিকার বিষয়ে
ধারাঃ ৪৩- ঘোষণার ফলাফল।
ধারাঃ ৪৪- রিসিভার নিয়োগ
ধারাঃ ৫২- প্রতিরোধমূলক প্রতিকার মঞ্জুর
ধারাঃ ৫৩- অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
ধারাঃ ৫৪- চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের সময়/ যেসব ক্ষেত্রসমূহে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয়
ধারাঃ ৫৫- বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা
ধারাঃ ৫৬- নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান (১১টি ক্ষেত্রে)
ধারাঃ ৫৭- নেতিবাচক চুক্তি পালনের নিষেধাজ্ঞা