হাইকোর্ট প্যাকটিসের ইনটিমেশন জমা দেয়ার কত সময়ে মধ্যে পাবেন পরীক্ষা?

একজন শিক্ষানবীশ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অ্যাডভোকেট হিসাবে স্বীকৃতি পান। হাইকোর্টে প্যাকটিস করার জন্য আবারও তাকে একই পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে হাইকোর্ট প্যাকিটিসের জন্য ইনটিমেশন জমা দেওয়ার তারিখ হতে কত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা পাবেন সেই বিষয়ে অনেকেই থাকেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

এলএলএম থাকলে ১ বছর,অর্থাৎ ইনটিমেশন এর মেয়াদ ১ বছর হতে হবে। অপরদিকে এলএলএম না থাকলে ২ বছর অতিবাহিত হলে তাদের ক্ষেত্রে ৬ মাস পূর্ণ হলেই পরীক্ষা দিতে পারবেন।
🎯ইনটিমেশন এর মেয়াদ কত তারিখের মধ্যে থাকলে এক্সাম দিতে পারবেন?
উঃ নোটিশ অনুসারে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২২ এর মধ্যে ১ বছর [এলএলএম থাকলে] অন্যদের ক্ষেত্রে ২ বছর পূর্ণ হবার পাশাপাশি ইনটিমেশন এর ৬ মাস পূর্ণ হলে এক্সাম দিতে পারবেন।
🎯হাইকোর্ট পারমিশনের ক্ষেত্রে ইনটিমেশন এর মেয়াদ পূর্ণ হয়নি, কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন কার্ড পাইলে এক্সাম দেওয়া যাবে কি না?
উঃ না, দিতে পারবেন না।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.lawquestionbank.android


🎯ফর্ম ফিলাপ এর ডেট যদি আবার পেছিয়ে যাই, তখন যদি ইনটিমেশন এর মেয়াদ পূর্ণ হয়, তাহলে কি এক্সাম দিতে পারবো?
উঃ এটা বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। নোটিশের মধ্যে যদি উল্লেখ থাকে তবে পাবেন।
🔘যারা হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষার পরীক্ষার্থী এবং যাদের রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ আছে তারা কত টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করবেন?
উঃ ১২৯৬০ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তাদের ধরণ হবে Regular Candidate.
🎯যারা সব শেষ লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেছেন তাদেরকেও কি এখন রেগুলার শিক্ষার্থীদের মতো করে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে?
উঃ জ্বি না। রেগুলার শিক্ষার্থীদের মতো করে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে না। তবে ২১৬০ দিয়ে Re-appear Form পূরণ করতে হবে।

🎯যারা ২য় বার ভাইভা ফেল করেছেন এবং রেজিষ্ট্রেশন মেয়াদ শেষ হয়নি তাদের কে পরীক্ষা দিতে হলে কি করতে হবে ?
উঃ তাদেরকে আবারও লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। এখন তাদেরকে ২১৬০ টাকা দিয়ে Re-appear Form পূরণ করবেন।
🎯যারা একবার ভাইভা ফেল করেছেন তাদের কে কি আবার এখন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে?
উঃ না। তাদেরকে এখন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে না। যখন ভাইভা পরীক্ষার নতুন তারিখ দিবে তখন তাদের জন্য আলাদা নোটিশ আসবে। আপাতত কিছু করতে হবে না। কারণ একবার রিটেন পাশ করলে ২ বার ভাইভা দেওয়া যায়।

লেখক: মাহামুদ ওয়াজেদ
অ্যাডভোকেট,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Comment