রাজধানীর সদরঘাটস্থ ঢাকার নিম্ম আদালতে অবস্থিত পোস্ট অফিস সন্ধ্যাকালীন ডাকঘর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে ঢাকা কোর্ট নৈশ ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী ইসমত আরা জেরীন।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা কোর্ট সাব পোস্ট অফিসে ন্যূনতম ৭ জন পোস্টাল অপারেটর, দুজন নিরাপত্তা কর্মী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নৈশকালীন সেবা চেয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বরাবর নোটিশ প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান।
বাড়তি পোস্টাল অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নৈশকালীন সেবার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয় নোটিশে।
নোটিশ প্রেরণের এক বছর ২ মাস পর চকবাজার নৈশ ডাকঘরের কার্যক্রম স্থগিত করে ওই ডাকঘরের সংস্থাপন সমন্বয় পূর্বক স্থানান্তর করে তা ঢাকা কোর্টে আনা হয়েছে।
তবে এখন থেকে শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত প্রতিদিন বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকা কোর্ট নৈশ ডাকঘরের অফিস চলবে। তবে কাউন্টার খোলা থাকবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ডাক প্রেরণের সময় রাত ৮টা।
ঢাকা কোর্টে নৈশকালীন ডাক সেবা চালু হওয়ায় সাধারণ আইনজীবীদের ভোগান্তি কমবে বলেন জানান আইনজীবীরা।
ঢাকা কোর্টে নৈশ/সান্ধ্যকালীন ডাকঘর সেবা চালুর পেছনে যাদের অবদান রয়েছে বিইউবিটি ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বুলা) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসানসহ, তৌসিফ মাহমুদ, মো.ওবায়দুল্লাহ কাজী, মুশফিকুর রহমান সেতু, মো. সুজন মিয়া, মীর আলমগীর হোসেন, এইচএম রাশিদুল ইসলাম, এসকে হাফিজুর রহমান, আবু তাহের রনি, মো. মিলন, আব্দুল্লাহ আল আশিক, আব্দুল কাইয়ুম সজীব, সাইফ মজুমদার, ফয়সাল আল মাহমুদ, আব্দুল্লাহ কায়সার নিয়াজী, এস এম মেহেদী হাসানসহ প্রমুখ।